কে যেন ঘুর ঘুর করে (১৮)
কে যেন ঘুর ঘুর করে ( ১৮ ) আমাদের পুরাণের গল্পগুলো সত্যিই বড়ো অদ্ভূত। এইসব গল্প-কাহিনিতে লোকায়ত-ভাবনার কত রূপই না প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের এমনি হতভাগ্য অবস্থা আমরা তাদের মোটা দাগের ধর্মীয় আবরণে ঢেকে তাতে গদগদ ভক্তিরস উপুড় করে দিয়েছি। অন্যদিকে সেই ধর্মীয় আস্তরণের অজুহাত দেখিয়ে আমাদের সারস্বত সমাজও পৌরাণিক ব্যাপারগুলোকে অছূত করে রেখেছে। সেগুলো থেকে নিজেদের অতীতকে নতুন করে আবিষ্কারের রাস্তায় হাঁটেনি, আলাপ-আলোচনায় সেগুলো নিয়ে বিকল্প কোনো ভাবনাকে আমল দেয়নি। অথচ এদেশের লোকভাবনার বিকাশ ও বিস্তারকে জানার জন্যে এগুলো হয়ে উঠতে পারে অমূল্য আকর। আমরা ভুলে যাই, বৈদিক আর্যরা এদেশের ভূমিপুত্র-ভূমিকন্যাদের জন্য তাদের সদর দরজাতে খিল এঁটে দিলেও সমাজের খিড়কি দরজাটা কিন্তু খোলাই ছিল। সেই পথেই এদেশের কালো-কুৎসিত মানুষগুলো তাদের ধর্মভাবনা, সমাজভাবনা, সাংস্কৃতিক চিন্তা সবকিছু বগলদাবা করে শিষ্ট-সমাজের অন্দরমহলে ঢুকে পড়ে প্রাচীন যা-কিছু সব তছনছ করে তাকে দেশীয় ঐতিহ্যে নিজেদের মতো করে সাজিয়ে নিয়েছে। প্রাচীন কর্তারা শুধু সবকিছুর উপর বারে বারে ব্রাহ্মণ্যমতের মন্ত্রপূত জল ছিটিয়ে তাদের শুদ্ধ...